দেশেই হবে করোনার টিকা উৎপাদন
দেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় টিকা উৎপাদন কার্যক্রমে আজ এক নতুন দুয়ার খুলতে যাচ্ছে। এতদিন টিকা আমদানি হলেও দেশেই টিকা উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল।
চীন ও রাশিয়ার দুটি টিকা দেশে উৎপাদন করার বিষয়ে দফায় দফায় দুই দেশের মধ্যে বৈঠক, আলাপ-আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েও বারবারই তা স্থবির হয়ে পড়ে নানা কারণে। তবে এবার চীনের সিনোফার্মের টিকা দেশেই উৎপাদনের উদ্যোগ প্রায় বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে সরকার ও দেশীয় বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ভ্যাকসিন ইউনিটের হাত ধরে।
অর্থাৎ চীন থেকে সিনোফার্মের টিকার উৎপাদনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কাঁচামাল এনে ইনসেপ্টা তাদের ভ্যাকসিন প্লান্টে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সরকারকে হস্তান্তর করবে মানুষকে দেওয়ার জন্য। এই উৎপাদনপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ও চীন সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে আজ সোমবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর মহাখালী বিসিপিএস মিলনায়তনে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের উপস্থিতিতে দুই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। চীনের রাষ্ট্রদূত লি জি মিং ও ইনসেপ্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদিরও উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, আপাতত টিকার ক্যাম্পেইন বন্ধ থাকবে। টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে যখন সম্ভব হবে, তখন তা আবার শুরু করা হবে।
দেশে এ পর্যন্ত সিনোফার্মের টিকা এসেছে এক কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডোজ। আর চারটি ব্র্যান্ডের সব মিলে টিকা এসেছে তিন কোটি ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ ডোজ। অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি টিকা মিলেছে চীন থেকে। এরপর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে এক কোটি ১৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ ডোজ, ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ ও মডার্নার ৫৫ লাখ ডোজ। এর মধ্যে সব মিলিয়ে শনিবার পর্যন্ত দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে দুই কোটি আট লাখ ৮৯ হাজার ৯২৮ ডোজ।